উপাধ্যক্ষ

বীর প্রসবিনী এই চট্টগ্রাম। মিজোরাম প্রদেশের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কলেজ গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার যাবার পথে এ কলেজের অবস্থান। কলেজের মোট আয়তন ৭.৬৪ একর। এলাকার শিক্ষানুরাগী,গুণীজন, বিভিন্ন পেশাজীবী ও দানশীল ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৬৯ সালের ১ জুলাই গাছবাড়ীয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু অংশে ছোট পরিসরে গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ এর যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালের ১ মার্চ কলেজটি সরকারি কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ নামে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৫ সালে নিজস্ব জমিতে প্রশাসনিক ভবন, কলা ভবন, বাণিজ্য ভবন, বিজ্ঞান ভবন, গ্রন্থাগার ভবন নিয়ে বর্তমান ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি, স্নাতক (পাস) এবং অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়। কলেজের একাডেমিক পরিবেশ চমৎকার। শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করে। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। এই কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে অনেকে জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, যাঁদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ  করি।



আমি কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকদের বলতে চাই, আপনাদের সন্তানেরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে থাকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। দিনের বেশিরভাগ সময় আপনাদের সাথে থাকে। তাই তাদের চলাফেরা, বন্ধু নির্বাচন, লেখাপড়ায় মনোনিবেশ প্রভৃতি বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। যাতে করে আপনাদের সন্তান বিপদগামী না হয়।



পরিশেষে আমি আশা করব, এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সকল ছাত্র-ছাত্রী অধ্যবসায়ী, সৎ, চরিত্রবান, মানবিক হয়ে নিজেকে গঠন করবে। তাদের মাধ্যমেই ২০৪১ সালে একটি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠিত হবে।

 



সকলের প্রতি শুভ কামনা রইল।